করোনাভাইরাসের পর এবার নোরোভাইরাসের আতঙ্ক
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভাইরাস সংক্রমণে প্রধান উপসর্গ বমি এবং ডায়েরিয়া। যেকোন বয়সের মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে কোটি কোটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও কয়েকটি ভাইরাস সুস্থ ব্যক্তিকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।

করোনা মহামারির দাপটে তোলপাড় সারাবিশ্ব। চীনের উহান প্রদেশ থেকে উৎপত্তি হওয়ায় বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় চীনের। সেই প্রভাব আর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা কমতে না কমতেই শুরু হলো আরেক ভাইরাসের আবির্ভাব। শিশুদের প্রাণ নেওয়া নতুন এই ভাইরাসের নাম নোরোভাইরাস। এরও উৎপত্তি চীনেই।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, চীনের সিচুয়ান উপত্যকার জিঘং শহরে এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছেন। প্রথমেই সংক্রমিত হয়েছে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিশুরা। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ জন শিশু এই ভাইরাস সংক্রমণের শিকার।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভাইরাস সংক্রমণে প্রধান উপসর্গ বমি এবং ডায়েরিয়া। যেকোন বয়সের মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে কোটি কোটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও কয়েকটি ভাইরাস সুস্থ ব্যক্তিকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।
গত মাস থেকেই চীনে একটু একটু করে ছড়াচ্ছে নোরোভাইরাস। এর আগে উত্তর পূর্ব চিনের লিয়াওনিং এবং উত্তর চিনের শাংশি অঞ্চলে এই ভাইরাসজনিত সংক্রমণের সন্ধান পাওয়া যায়।
এখনও পর্যন্ত করোনার মতোই নোরো ভাইরাসেরও কোনও ভ্যাকসিন নেই। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চীন প্রশাসন প্রথম টেট্রাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করে। এই ভ্যাকসিন ৮০-৯০ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করছে জিনহুয়া সংবাদসংস্থা। যদিও ভ্যাকসিনটি বাজারজাত হয়নি।
- সূত্র: আন্দালু